জসিম উদ্দিনঃ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আপোষহীন ভাবে বিভিন্ন অপরাধ দমনে ও সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
তারাই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ মার্চ ২০২৩ইং তারিখ রাত অনুমান ৯. ঘটিকায় জিএমপি,গাজীপুর জেলার টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন সাতাইশ পূর্বপাড়া সালাউদ্দিন এর ২য় তলার বাসার ছাদের উপর পরিত্যক্ত রুমের ফ্লোরের মধ্যে আসামী মোঃ সিফাত উল্লাহ (২০)সাব্বির মাহমুদ (২০)ভিকটিম মোসাঃ মীম আক্তার (১৭)কে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফুসলাইয়া নিয়ে মুখ চাপিয়া ধরে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা-মোঃ হাবিবুর রহমান (৪১), বাদী হয়ে জিএমপি,গাজীপুর জেলার টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যাহা জিএমপি, গাজীপুর এর টঙ্গী পশ্চিম থানায় গত ১ এপ্রিল ২০২৪ ইং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন(সংশোধনী-২০০৩) এর মামলা ৯(৩) রুজু হয়।
এই ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারিত হয় এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে এই গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আসামীদ্বয়কে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১ এর আভিযানিক দল বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ৮ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ আনুমানিক ২. ঘটিকার সময় র্যাব-১ এর আভিযানিক দল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে যে, সূত্রোক্ত মামলার প্রধান পলাতক আসামী মোঃ সিফাত উল্লাহ (২০) জিএমপি, গাজীপুর জেলার সদর থানাধীন জোড়পুকুর এলাকায় আত্নগোপনে আছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিতিত্তে র্যাব-১ এর আভিযানিক দল জিএমপি, গাজীপুর জেলার সদর থানাধীন জোড়পুকুর সাকিনস্থ জেসমিন রেস্টুরেন্ট এ্যান্ড জিলাপি হাউজ এর সামনে হতে অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষন মামলার প্রধান পলাতক আসামী মোঃ সিফাত উল্লাহ (২০)কে গ্রেফতার করে। র্যাব-১ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী উল্লেখিত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।গ্রেফতারকৃত আসামীকে বাঘমারা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।