ঢাকা ০৬:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

কলকাতার মাফিয়া ডন তাহের হোসেন পাপ্পু এখন গুলশানের ইয়াবা এবং দেহব্যবসার সম্রাট

  • আপডেট সময় : ০৯:৩১:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪
  • ৩০৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :- কলকাতার পলাতক ফেরারী আসামি তাহের হোসেন পাপ্পু এখন গুলশানের ইয়াবা এবং দেহব্যবসার সম্রাট। দীর্ঘ দিন যাবৎ এই পাপ্পু গুলশান বনানী তে মাদক এবং দেহ ব্যবসার গডফাদার হয়ে ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে কিন্তু অদৃশ্য কারণে বরাবর ই প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায় এই পাপ্পু । মাদক এবং নারীদের ব্যবহার করে পাপ্পুর মুল টার্গেট গুলশান বনানী বারিধারার উচ্চ বিত্ত ব্যাসায়ী এবং বাড়িওয়ালা।

ভারতের কলকাতা থেকে এসে বাংলাদেশে আত্মগোপনে থাকা তাহের হোসেন পাপ্পু ইয়াবা এবং নারীদের ব্যবহার করে প্রথমে উচ্চবিত্ত ব্যবসায়ীদের এবং বাড়ির মালিকদের সাথে গভীর সখ্যতা এবং নিবীড় সম্পর্ক গড়ে তোলে। এর পরের টার্গেট ইস্পা ব্যবসার মালিক বানানো ! দীর্ঘদিন যাবত এই জগতে ব্যবসা করার সুবাদে তার প্রশাসন এবং কথিত সাংবাদিকদের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ একটি সম্পর্ক রয়ে গেছে যার বদৌলতে খুব দ্রুতই এই সমস্ত বাড়ির মালিক এবং ব্যবসায়ীদের ইস্পা ব্যবসার মালিক বানিয়ে দেয়। এরপর শুরু হয় তার আসল খেলা। প্রতিমাসেই বিভিন্ন মাসোয়ারা এবং বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে ব্যবসায়ী এবং বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতে শুরু করে লক্ষ লক্ষ টাকা। আর তাকে সহযোগিতা করতে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং নামধারী কিছু সাংবাদিক মরিয়া হয়ে ওঠে। এই তাহের হোসেন পাপ্পু ভিনদেশী নাগরিক এবং আত্মগোপনে থাকা এই তাহের হোসেন পাপ্পুর বিষয়ে সবার জানা থাকলেও মোটা অংকের মাসোয়ারার লোভে এই সমস্ত নামধারী সাংবাদিক এবং প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা নিরবেই তাকে সহযোগিতা করে যায়।

ব্যবসায়ী এবং বাড়ির মালিকদের কে ইস্পা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে তাদের ব্ল্যাকমেইল করা এই তাহের হোসেন পাপ্পুর নিত্যনৈমিত্তিক কাজ। প্রত্যেকটা ব্যবসায়ী এবং বাড়িওয়ালাদের ব্ল্যাকমেইল করে পথে বসাতে ছয় মাস থেকে এক বছরের বেশি সময় নেয় না এই তাহের হোসেন প্রাপ্পু ।

কখনো ২৬ নম্বর রোড কখনো ১১৩ নাম্বার রোড কখনো ১১৯ নম্বর রোড কখনো ৯৫ নাম্বার রোড, প্রতি বছরে একবার করে পরিবর্তিত হয় তার স্পা ব্যবসার ঠিকানা। শুধু পরিবর্তন হয় না অবস্থান ! গুলশান এবং বনানীর বাইরে উনি কোন ব্যবসা পরিচালনা করেন না! তবুও অদৃশ্য কারণেই এই গুলশান জোনের প্রশাসন সম্পূর্ণ নীরব তাহের হোসেন পাপ্পুর বিষয়ে। মাদক এবং নারীদের ব্যবহার করে কতজন ব্যবসায়ী এবং বাড়িওয়ালাকে পথে বসিয়েছেন তার সংখ্যা মোটেও নগণ্য নয়। গুলশান থানায় তার যাতায়াত খুব স্বাভাবিক এবং সহজ সরল আর ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের মতই। ভিনদেশী পলাতক তাহের হোসেন পাপ্পু গুলশান জোনের গুলশান – বনানী থানায় যাতায়াত করে একজন ভিআইপি নাগরিকের ভূমিকায়।

বর্তমানে ( গুলশান এক ) এর ১৩০ নাম্বার রোডের একটি বাড়ির মালিক ” এ্যনা ” ম্যাডামের সাথে তার গভীর সখ্যতা গড়ে উঠেছে। ” এ্যনা ” ম্যাডামের ছত্রছায়ায় ১৩০ নম্বর রোডের ওই বাড়িতে গড়ে উঠেছে স্পা নামের দেহ ব্যবসার একটি মিনি পতিতালয় যেখানে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা থেকে শুরু করে সকল মাদকদ্রব্য সাথে দেহ ব্যবসা। তাহের হোসেন পাপ্পুর ভাষায় সে এখন ” এ্যনা ” মেডামের হাজবেন্ড সমতুল্য । যদিওবা বাংলাদেশে তার প্রথম যাত্রা শুরু হয়েছিল নাপিতের পেশা দিয়ে।

এ ব্যাপারে তাহের হোসেন পাপ্পুর বক্তব্য নিতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তার ফোনে একাধিকবার ফোন করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

কলকাতার মাফিয়া ডন তাহের হোসেন পাপ্পু এখন গুলশানের ইয়াবা এবং দেহব্যবসার সম্রাট

আপডেট সময় : ০৯:৩১:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :- কলকাতার পলাতক ফেরারী আসামি তাহের হোসেন পাপ্পু এখন গুলশানের ইয়াবা এবং দেহব্যবসার সম্রাট। দীর্ঘ দিন যাবৎ এই পাপ্পু গুলশান বনানী তে মাদক এবং দেহ ব্যবসার গডফাদার হয়ে ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে কিন্তু অদৃশ্য কারণে বরাবর ই প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায় এই পাপ্পু । মাদক এবং নারীদের ব্যবহার করে পাপ্পুর মুল টার্গেট গুলশান বনানী বারিধারার উচ্চ বিত্ত ব্যাসায়ী এবং বাড়িওয়ালা।

ভারতের কলকাতা থেকে এসে বাংলাদেশে আত্মগোপনে থাকা তাহের হোসেন পাপ্পু ইয়াবা এবং নারীদের ব্যবহার করে প্রথমে উচ্চবিত্ত ব্যবসায়ীদের এবং বাড়ির মালিকদের সাথে গভীর সখ্যতা এবং নিবীড় সম্পর্ক গড়ে তোলে। এর পরের টার্গেট ইস্পা ব্যবসার মালিক বানানো ! দীর্ঘদিন যাবত এই জগতে ব্যবসা করার সুবাদে তার প্রশাসন এবং কথিত সাংবাদিকদের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ একটি সম্পর্ক রয়ে গেছে যার বদৌলতে খুব দ্রুতই এই সমস্ত বাড়ির মালিক এবং ব্যবসায়ীদের ইস্পা ব্যবসার মালিক বানিয়ে দেয়। এরপর শুরু হয় তার আসল খেলা। প্রতিমাসেই বিভিন্ন মাসোয়ারা এবং বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে ব্যবসায়ী এবং বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতে শুরু করে লক্ষ লক্ষ টাকা। আর তাকে সহযোগিতা করতে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং নামধারী কিছু সাংবাদিক মরিয়া হয়ে ওঠে। এই তাহের হোসেন পাপ্পু ভিনদেশী নাগরিক এবং আত্মগোপনে থাকা এই তাহের হোসেন পাপ্পুর বিষয়ে সবার জানা থাকলেও মোটা অংকের মাসোয়ারার লোভে এই সমস্ত নামধারী সাংবাদিক এবং প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা নিরবেই তাকে সহযোগিতা করে যায়।

ব্যবসায়ী এবং বাড়ির মালিকদের কে ইস্পা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে তাদের ব্ল্যাকমেইল করা এই তাহের হোসেন পাপ্পুর নিত্যনৈমিত্তিক কাজ। প্রত্যেকটা ব্যবসায়ী এবং বাড়িওয়ালাদের ব্ল্যাকমেইল করে পথে বসাতে ছয় মাস থেকে এক বছরের বেশি সময় নেয় না এই তাহের হোসেন প্রাপ্পু ।

কখনো ২৬ নম্বর রোড কখনো ১১৩ নাম্বার রোড কখনো ১১৯ নম্বর রোড কখনো ৯৫ নাম্বার রোড, প্রতি বছরে একবার করে পরিবর্তিত হয় তার স্পা ব্যবসার ঠিকানা। শুধু পরিবর্তন হয় না অবস্থান ! গুলশান এবং বনানীর বাইরে উনি কোন ব্যবসা পরিচালনা করেন না! তবুও অদৃশ্য কারণেই এই গুলশান জোনের প্রশাসন সম্পূর্ণ নীরব তাহের হোসেন পাপ্পুর বিষয়ে। মাদক এবং নারীদের ব্যবহার করে কতজন ব্যবসায়ী এবং বাড়িওয়ালাকে পথে বসিয়েছেন তার সংখ্যা মোটেও নগণ্য নয়। গুলশান থানায় তার যাতায়াত খুব স্বাভাবিক এবং সহজ সরল আর ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের মতই। ভিনদেশী পলাতক তাহের হোসেন পাপ্পু গুলশান জোনের গুলশান – বনানী থানায় যাতায়াত করে একজন ভিআইপি নাগরিকের ভূমিকায়।

বর্তমানে ( গুলশান এক ) এর ১৩০ নাম্বার রোডের একটি বাড়ির মালিক ” এ্যনা ” ম্যাডামের সাথে তার গভীর সখ্যতা গড়ে উঠেছে। ” এ্যনা ” ম্যাডামের ছত্রছায়ায় ১৩০ নম্বর রোডের ওই বাড়িতে গড়ে উঠেছে স্পা নামের দেহ ব্যবসার একটি মিনি পতিতালয় যেখানে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা থেকে শুরু করে সকল মাদকদ্রব্য সাথে দেহ ব্যবসা। তাহের হোসেন পাপ্পুর ভাষায় সে এখন ” এ্যনা ” মেডামের হাজবেন্ড সমতুল্য । যদিওবা বাংলাদেশে তার প্রথম যাত্রা শুরু হয়েছিল নাপিতের পেশা দিয়ে।

এ ব্যাপারে তাহের হোসেন পাপ্পুর বক্তব্য নিতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তার ফোনে একাধিকবার ফোন করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।