ওশেন মেরিটাইম একাডেমি পাসিং আউট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠান ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার ফৌজদারহাটে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্যাপ্টেন সাঈদ আহমেদ কন্ট্রোলার অব মেরিটাইম এডুকেশন, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর, ক্যাপ্টেন জাকির হোসেন চৌধুরী শিপিং মাষ্টার সরকারী শিপিং অফিস, মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন ইমরান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জেলা পরিষদ চট্টগ্রাম, গোলাম রব্বানি কর্পোরেট বিষয়ক পরিচালক যমুনা গ্রুপ, আরিফুল ইসলাম আরিফ ধর্ম বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, তাপসি রাবেয়া এনআরবি ব্যাংক, ফারভীন আকতার চেয়ারম্যান ওশান মেরিটাইম একাডেমি, মারুপ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওশান মেরিটাইম একাডেমি।
মারুপ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তি এবং দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি ২০১২ সালে চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন ওশেন মেরিটাইম একাডেমি এবং ওশেন মেরিটাইম ট্রেনিং ইন্সটিটিউট। তার এই প্রতিষ্ঠানগুলো খুব অল্প সময়ে সকলের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয় এবং দেশের অর্থনীতিতে রেখে চলেছেন প্রতিনিয়ত অবদান।
তারুণ্যই উদ্যম, তারুণ্যই শক্তি, আর সেই তারুণ্য যদি হয় মেধাবী উদ্যোক্তা তাহলে তার উদ্যোগ যে সাফল্যের সোনালি সিঁড়িতে পা রাখবে এটা খুবই স্বাভাবিক।দেশের মেরিটাইম সেক্টরকে এগিয়ে নিতে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তিনি স্বপ্ন দেখেন ভবিষ্যতে মেরিটাইম সেক্টর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গার্মেন্টস্ সেক্টরের পরেই অবস্থান করবে ।
বিশ্বে মেরিটাইম সেক্টর একটি বিশাল সম্ভাবনাময় সেক্টর। পৃথিবীর মোট বাণিজ্যের ৯০ শতাংশই জাহাজের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। আর এই জাহাজগুলোতে যারা চাকুরী করেন তাদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলে চাকুরীর ব্যবস্থা করাই হলো ওশেন মেরিটাইম একাডেমির লক্ষ্য। ইতমধ্যে এই প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য নাবিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশ বিদেশের বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানীতে সুনামের সহিত চাকুরী করছেন।
বাংলাদেশে মেরিটাইম শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে । বাংলাদেশ একটি বিশাল জনসংখ্যার দেশ। এখানে প্রচুর শিক্ষিত বেকার রয়েছে। সেই সমস্ত বেকার ছেলেদের সঠিক ও আধুনিক শিক্ষার মাধ্যমে চাকুরীর সুব্যবস্থা করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে মেরিটাইম এডুকেশন অত্যন্ত বড় সম্ভাবনাময় সেক্টর। যে শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীগণ আন্তর্জাতিক মানের সনদ ও চাকুরী দুটোই পেয়ে থাকে।
মেরিনারদের চাকুরীর বেতনও যথেষ্ট ভালো। তাছাড়া বিশ্ব ভ্রমন ও বহুজাতিক মানুষের সাথে মেশার অফুরন্ত সুযোগতো রয়েছেই। বাংলাদেশে মেরিনারদের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবেই কম। বাংলাদেশ মেরিন সেক্টরের একটি বৃহৎ খাতে পরিণত হবে এবং গার্মেন্টস্ সেক্টরের পরেই অচিরেই দ্বিতীয় বৃহৎ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হিসেবে পরিগণিত হবে ।
সারা দিন ব্যাপি অনুষ্ঠানে ছিল পুরুষ্কার বিতরণ, মেরিনারদের অংশগ্রহনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে মেরিনারদের পরিবারের সদস্যরা ও অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।