খান মেহেদী -ঃ বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ)আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব মেজর জেনারেল অবঃ আব্দুল হাফিজ মল্লিক ঢাকার বার্তা সম্পাদক সাংবাদিক খান মেহেদীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের জানান , আগামিতে আওয়ামী লীগ হবে পরিচ্ছন্ন ও আদর্শিক নেতৃত্ব নির্ভর। তাই মিরজাফর, বিশ্বাসঘাতক ও বেঈমানমুক্ত সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে গড়ে তুলতে আমাদের নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। মুখে নৌকা হৃদয়ে অন্যকিছু এমন নৌকাবিরোধীদের আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলে আওয়ামী লীগকে কলঙ্ক মুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগকে কলঙ্ক মুক্ত করা হয়েছে এবার তারানোর পালা,আওয়ামী লীগের কমিটিতে যেনো স্থান না হয় নৌকাবিরোধীদের সেই লক্ষে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি বোঝাতে হবে। দেশ পরিচালনায় আওয়ামী লীগ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যেমন কোনো বিকল্প নাই, তেমনি রাজনৈতিক লক্ষ্যে পৌচ্ছাতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে নিজেদের অস্থিত্ব রক্ষায় যেমন ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের প্রয়োজন: তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক গণতন্ত্রের ধারক-বাহক আওয়ামী লীগকেও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, অন্যথায় আওয়ামী লীগের পক্ষে তার রাজনৈতিক লক্ষ্যে পৌচ্ছা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক একটাই বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে নিয়ে আগামিতে এগিয়ে যাওয়া।
তিনি আরো বলেন, আগামিতে আওয়ামী লীগকে আদর্শিক ও জ্ঞানভিত্তিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এজন্য ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নাই।তিনি বলেন, তৃণমুল নেতাকর্মীদের মাঝে পৌচ্ছে দিতে হাবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দর্শন। তার মতে মূখে কেবল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা বললেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দর্শন কি, অর্থনৈতিক কর্মসূচী তথা উৎপাদন, উন্নয়ন, বিনিয়োগ-কর্মসংস্থান এবং আধিপত্যবাদ-সম্প্রসারণবাদ কি ও তার ক্ষতির দিকগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট বক্তব্য থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা যে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের নেই প্রশ্নে আপোষহীণ সে বিষয়টি সকল নেতাকর্মীদের হৃদয়ে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা ছড়িয়ে দিতে হবে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে। বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে আমরা কি পেয়েছি।তিনি বলেন, আমরা কেনো আওয়ামী লীগ করি, অন্যদলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের পার্থক্য কি, মানুষ কেনো আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে ও সমর্থন করে-এসব বিষয়ে তৃণমুল পর্যায় থেকে শুরু করে সকল নেতাকর্মীদের মাঝে সুস্পষ্ট ধারণা তথা দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। তাহলে তারা দলের প্রতি আরও নিবেদিত হয়ে কাজ করতে পারবেন। আগামীতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে নিয়ে এলাকায় আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিক ভাবে আরো শক্তিশালী, বেগবান ও সু-প্রতিষ্ঠিত করা হবে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। আওয়ামী লীগ হলো অসাম্প্রদায়িক, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রতীক। মানুষ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতেই আওয়ামী লীগকে আগামীতেও রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চাই। সাধারণ মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার রক্ষায় আওয়ামী লীগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, আগামীতেও যাবে। আওয়ামী লীগ আগামীতে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী ও বেগবান করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ৭১ সালে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলন ছিল গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ। তিনি সম্পূর্ণ অহিংস পদ্ধতিতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বহুমাত্রিক প্রতিভাসম্পন্ন ত্রিকালদর্শী পুরুষ ছিলেন, তিনি অতীত জানতেন, বর্তমান বুঝতেন ও ভবিষ্যত পড়তে পারতেন। তার ইতিহাস বোধ বাঙালী জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের সোনার বাংলা গড়ার পথ দেখিয়েছেন। বাঙালীর কি চাওয়া, তাদের দাবি, আশা ও আকাঙ্ক্ষা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। মানুষের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা খুব গভীর ছিল। তার ডাকে সকল মানুষ এক হয়ে যেত।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, যারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে তারা মুলত বাংলাদেশকেই অস্বীকার করেন। তাই বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগকে বার বার রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় নিয়ে আসতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে আওয়ামী লীগকে নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। তিনি আগামিতে সকলকে আওয়ামী লীগের ছায়াতলে আশার আহবান জানান
“বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীক বিজয়ী হলে, বিজয়ী হয় বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীক পরাজিত হলে; শুধু আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, পুরো বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণ পরাজিত হয়ে যায় এবং দেশের মানুষ পিছিয়ে পড়ে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ দলের প্রয়োজন নয়; বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অপরিহার্য।
গত ১৪ বছরের বাংলাদেশের দুর্বার উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে চলমান রাখতে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিংড়া আসনে নৌকা প্রতীককে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করতে চাই।