রোববার (২৮ জুলাই) কমিশন থেকে এ অনুমোদন দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম। শিগগিরই চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অভিযুক্ত ঋণ গ্রহীতার নাম মো. টিপু সুলতান বলে জানা গেছে। তিনি মেসার্স ঢাকা ট্রেডিং হাউজের স্বত্ত্বাধিকারী। এছাড়া অভিযুক্ত জনতা ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান পাঁচ কর্মকর্তা হলেন, ব্যাংকটির লোকাল অফিসের এজিএম মো. মসিউর রহমান (সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার), একই শাখার ডিজিএম শামীম আহমেদ খান, ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের এজিএম এ এস জহুরুল ইসলাম, ব্যাংকটির অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক মো. মনজেরুল ইসলাম (সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক, আমদানী-রপ্তানী) ও ব্যাংকটির কমার্শিয়াল অফিসার সাইফুল ইসলাম।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, চিনি ও বাচ্চাদের খাবার আমদানির নামে জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিসে ঢাকা ট্রেডিং হাউজের অনুকূলে এলসি খোলেন মো. টিপু সুলতান। পরে সেই এলসির বিপরীতে মালামাল আমদানি না করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এই কোম্পানির হিসাব নম্বরে ২৫০ কোটি ৯৬ লাখ ১ হাজার ৪৫৫ টাকা স্থানান্তর করেন। পরে স্থানান্তরকৃত ওই বিপুল পরিমাণ টাকা ২০১০ থেকে ২০১২ সালের বিভিন্ন সময়ে আসামিরা ব্যাংকে থেকে তুলে আত্মসাৎ করেন। দুদকের অনুসন্ধানে এর প্রমাণ মিলেছে বলে মামলা দায়ের করা হয়।
২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত) মো. সামছুল হক বাদী হয়ে এ মামলাটি করেছিলেন।