নিজস্ব প্রতিবেদক :- ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বাকেরগঞ্জ প্রথম ধাপে হবে। ইতোমধ্যে চলছে নির্বাচনি উত্তাপ। সমর্থন চেয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরা পোস্টার-ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতারা প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় থাকছে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। তবে উপজেলা পরিষদের এই নির্বাচনে বিএনপি ও জাপার কোনো প্রার্থী নেই।
এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল -৬ বাকেরগঞ্জ আসনেই নৌকা ও স্বতন্ত্র ট্রাক প্রার্থীর মধ্যে ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে নানা বিভেদ। এ কারণে উপজেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরাও কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
এরই মধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া সংসদ নির্বাচনে বর্তমান এমপি আব্দুল হাফিজ মল্লিকের বিরোধিতা করেছেন। কয়েক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় এমপির প্রিয়ভাজন হলেও উপজেলা নির্বাচন কেন্দ্র করে এখন তাদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে গ্রুপিং। আবার কেউ কেউ দলের হাইকমান্ডকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
তবে সম্প্রতি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকবে না। ফলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। এতে প্রার্থীর সংখ্যাও যেমন বাড়বে তেমনি বিভক্তিও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।
অপরদিকে ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। ফলে বাকেরগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মাঠে আলোচনায় নেই স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ কারণে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে এখন উপজেলায় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান (নারী ও পুরুষ) পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরাই।
এছাড়াও বাকেরগঞ্জে টানা তিনবারের মতো জাতীয় পার্টির এমপি ছিলেন রতনা আমিন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক মেজর জেনারেল আব্দুল হাফিজ মল্লিক নৌকা মার্কার প্রতীক নিয়ে পরাজিত করেছেন রতনা আমিনকে। তাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবারে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় নেই কেউ।
এছাড়াও নির্বাচনী দৌড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা। এছাড়াও নির্বাচনি মাঠে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক রাজিব তালুকদার। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম খান, সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ আলম খান।