মোঃ নাসির উদ্দিনঃ সাম্প্রতিক সময়ে বহুল আলোচিত উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে নানান জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে উচ্চ আদালতে বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চ এ শাহাদাত কাদের প্রার্থীতা বৈধ আদেশ দেন।
১৪ মে (মঙ্গলবার) আদালতে শাহাদাত হোসেনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট একরামুল হক টুটুল ও তামান্না ফেরদৌস।
অন্যদিকে ইসির পক্ষে ছিলেন, ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও ব্যারিস্টার আশফাকুর রহমান।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
সকল জল্পনা-কল্পনা অবসান ঘটিয়ে উচ্চ আদালতে গিয়ে প্রার্থীতা ফিরে পান শাহাদাত হোসেন।আগামী ২৯ শে মে টেলিফোন মার্কা নিয়ে উপজেলা চেয়ারমান নির্বাচন করবেন সেতু মন্ত্রীর ছোট ভাই শাহাদাত কাদের । এরই মধ্য শাহাদাত কাদের প্রার্থীতা ফিরে পাওয়া নিজ এলাকায় শাহাদাত কাদের সমর্থিত নেতা কর্মীরা আনন্দ মিচিল করছে বলে ও জানা যায়।
এ বিষয়ে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমি যেন প্রার্থিতা ফিরে না পাই, এ জন্য ওপর মহল থেকে অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তিন দিন আইনি লড়াই করে আজ প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি।’
গত ৫ মে যাচাই-বাছাইয়ে হলফনামায় ৪ মামলা ও সম্পত্তির বিবরণ না থাকায় শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহম্মদ ইসমাঈল হোসেন। পরে তিনি নোয়াখালী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেন। গত ৯ মে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান তার আপিল আবেদনটি খারিজ করে দেন। এরপর রোববার হাইকোর্টে আপিল করেন শাহাদাত হোসেন।