নিজস্ব প্রতিবেদক:- ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাঝিয়াকান্দি গ্রাম থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত কিশোরীর নাম শর্মিলা আক্তার (১৫)। সে উক্ত গ্রামের মো. রতন মিয়ার মেয়ে। তবে ঠিক কি কারণে কিশোরী আত্মহত্যা করেছে, তা এখনো কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি।
নিহতের বাবা রতন মিয়া জানান, তার মেয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। তার মেজাজ সব সময় খিটখিটে থাকতো। বিভিন্ন জায়গায় মেয়েকে চিকিৎসা করালেও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। রোববার সকাল ৯ টার দিকে রতন মিয়ার স্ত্রী পারুল বেগম বসতঘরে শুয়ে থাকা অবস্থায় তাদের মেয়ে শর্মিলা বসতঘর থেকে বের হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা পরে তার স্ত্রী বসতঘর থেকে বাহির হয়ে রান্নাঘরে গিয়ে তাদের মেয়ে শর্মিলাকে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পারুল বেগমের চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন দৌঁড়ে এসে ওড়না কেটে তাদের মেয়েকে নিচে নামায়। এর কিছুক্ষণ পর শর্মিলা মৃত্যু বরণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ থানায় নিয়ে যায়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান জানান, শর্মিলার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।