ঈদ মানে নতুনত্ব। ঈদ মানে বাড়তি আনন্দে, উৎসবে আবীর মাখানো রঙ। ঈদ মানেই নতুন পোশাকে নিজেকে সাজানো। ঈদে ছোট-বড় সবাই নতুন পোশাকে নিজেকে সাজাতে চায়। এখন ঈদে আগের তুলনায় নানা স্টাইল আর ডিজাইনের পাঞ্জাবি পড়ার প্রবণতা বেড়েছে। পাঞ্জাবিতে যেমনি ফুটে ওঠে ব্যক্তিত্ব, তেমনি দেখতেও লাগে সুন্দর। রঙ আর বাহারি ডিজাইনের পাঞ্জাবি এখন তরুণদের প্রথম পছন্দ।
যে কোনো বয়সি বাঙালি তরুণ অথবা পুরুষকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, এবার ঈদে কী কিনছেন? প্রায় সবার উত্তর হবে একই। আর তা হলো- পাঞ্জাবি। ঈদে নতুন পাঞ্জাবি না হলে যেন, একেবারেই চলে না। পাঞ্জাবির পাশাপাশি অনেকে হয়তো শার্ট, পোলো ও টি শার্ট কিনে থাকেন। কিন্তু পুরুষের ঈদ বলতেই পাঞ্জাবি।
প্রতি বছর চট্টগ্রামে ঈদের বাজারে কয়েক লক্ষ টাকার পাঞ্জাবি বিক্রি হয়। এসকল পাঞ্জাবির মধ্যে ইন্ডিয়ান পাঞ্জাবির চাহিদা সর্বদাই বেশী। সেই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে চট্টগ্রামের রাজস্থান নামক ব্রান্ডটি। চট্টগ্রাম শহরে মোট ১৭ টি আউটলেট রয়েছে রাজস্থানের।
১৯ এপ্রিল বুধবার দুপুরে প্রবর্তক মোড়ের আউটলেটে অভিযান চালান জেলা প্রশাসন এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। অভিযানকালে দেখা যায়, দোকানের অল্প সংখ্যক পাঞ্জাবি ইন্ডিয়ান। তবে সেগুলোর কোনটিই রাজস্থান আমদানী করেনি। দেখাতে পারেনি কোন এলসি বা কাস্টমস এর ছাড়পত্র। যমুনা ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা আমদানি করে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু যমুনা ট্রেডার্স এর কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সকল ভ্যাট ট্যাক্স পরিশোধ করার পর পাঞ্জাবির মূল্য পড়ছে দুই হাজার টাকার কাছাকাছি। কিন্তু সেই পাঞ্জাবি রাজস্থানের আউটলেটে বিক্রি হচ্ছে ৭/৮ হাজার টাকা এমনকি কোনটা বিক্রি হচ্ছে ১২/১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। চড়া মূল্যে পণ্য বিক্রি করার দায়ে ঐ আউটলেটের ম্যানেজারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর দেশী পাঞ্জাবিতে “made in india” লিখে বিক্রি করার দায়ে আফমি প্লাজার দোতলায় অবস্থিত সারতাজ নামের দোকানটিতে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।