আবদুল মামুন,সীতাকুণ্ড-
গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাশাসক শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে আনন্দ উল্লাস করে চলেছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাহিরে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরা আত্মগোপন থেকে বেরিয়ে এসেছেন। গত দুইদিনে বিএনপির ৭ শতাধিক নেতাকর্মী জেলখানা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও চট্টগ্রামের আলোচিত নেতা আসলাম চৌধুরী এখনো জেলখানায়। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাথে হাত মিলিয়ে সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত ২০১৬ সালের ১৫ মে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বিএনপির কোন কেন্দ্রীয় নেতা টানা এত বছর জেলখানায় বন্দী ছিলেন না। এবার আসলাম চৌধুরীর ফেরার অপেক্ষায় নেতাকর্মীরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইকবাল বাহার বলেন, আসলাম চৌধুরী চট্টগ্রামের গণমানুষের নেতা। গত ৯ বছর ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে জেলখানায় বন্দী রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৬৮ টি মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে আদালত থেকে কয়েকবার জামিনে মুক্তি পেলেও আবার জেলগেটে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাবন্দী করা হয়েছে। ইকবাল বাহার আরও বলেন, অচিরেই তিনি ফিরবেন,বীরের বেশে জেলখানা থেকে চট্টলার মাটিতে পা রাখবেন। স্বৈরাশাসকের বিদায়ের মধ্য দিয়ে দেশে নতুন যে সূর্যের উদয় হয়েছে তা অক্ষুণ্ন রাখতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং দেশের সম্পদ যেন কোনভাবেই ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখতে আসলাম চৌধুরী নির্দেশ দিয়েছেন। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তরের নেতা ইদ্রিস মিয়া বলেন, মহানগরে গ্রেপ্তার সাড়ে ৩০০ নেতাকর্মীর মধ্যে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ২২০ জন জামিন পেয়েছেন। স্বৈরাশাসক শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে দেড় যুগ ধরে বিএনপি নেতাকর্মীদের যে ছন্নছাড়া জীবন তার অবসান হয়েছে। আসলাম চৌধুরীর মুক্তি নিয়ে আমরা কথা বলেছি। আশা করছি দুই এক দিনের মধ্যে তিনি মুক্তি পাবেন।