খান মেহেদী :- উত্তর জনপদের মৎস্য, শস্য ও আমের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় জন্ম এক সময়ের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মশিউর রহমান রিংকুর। চারবার স্ট্রোক করে অসুস্থ রিংকু বর্তমানে আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ হলেও পারছেন না আগের মত গান গাইতে। কিন্ত মনবল তীব্র তার। আবার ফিরতে চান গানের ভুবনে।
২০১৬ ইতালিতে শো করার সময় প্রথমবার স্ট্রোক করেন রিংকু। এরপর দেশে ফিরে চিকিৎসা নিয়ে আবারও গান শুরু করেন। কিন্তু ২০১৮ সালে আরেকবার স্ট্রোক করেন। শেষে ২০২০ সালে পরপর দুইবার স্ট্রোক করে শরীরের বাঁ-পাশ অবশ হয়ে যায় তার। বর্তমানে আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন রিংকু।
একসময় স্টেজ শো, অ্যালবাম প্রকাশ, পথে-প্রান্তরে ছুটে বেড়িয়েছেন গানকে ভালোবেসে, নিজের কণ্ঠে শ্রোতাদের মুগ্ধ করতে। কিন্তু এখন পুরোপুরি অবসর রিংকুর। নেই আগের মতো কোনো ব্যস্ততা।
‘ক্লোজআপ ওয়ান’ প্রতিযোগিতায় বাজিমাতের মাধ্যমে সংগীত জগতে নিজের জায়গা করে নেন রিংকু। ব্যস্ত হয়ে পড়েন স্টেজ শো ও অ্যালবাম প্রকাশে। ‘পাগলা ঘণ্টা’, ‘বাউল মন’ ও ‘জগৎ বন্ধু’ নামের তিনটি অডিও অ্যালবাম বের করেছিলেন।
গানের মাধ্যমে শ্রোতাদের মনে জায়গা করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন রিংকু। কিন্তু অসুস্থতা গানের জগৎ থেকে এখন দূরে রেখেছে তাকে।
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বড় সাওতা গ্রামের মহসীন আলী মৃধার ছেলে মশিউর রহমান রিংকু। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন তিনি।
রিংকু বলেন, ‘একটা সময় স্টেজ মাতিয়েছি। নতুন নতুন গান করেছি। কিন্তু এখন সব বন্ধ। আমাকে অনেকেই ডাকে গানের জন্য। কিন্তু আমি এ অবস্থায় গাইতে চাই না। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন, যেন আগের মতো গান গাইতে পারি। জানি আগের মতো হবে না। তারপরও চেষ্টা করবো।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, যদি এই শিল্পীকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করা হতো, তাহলে আবারও আগের মতো সুস্থ হয়ে উঠতেন তিনি। সরকারি সহায়তায় অনেক তারকাই বিদেশে চিকিৎসা করিয়েছেন। তাই এলাকাবাসী রিংকুর চিকিৎসার জন্য সরকারকে সহায়তা করার আহ্বান জানান।