খান মাহাদী
আমি এখনো নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে চোখ খুলেই ফোন চেক করি । ফেসবুকে নোটিফিকেশন থাকে, থাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট, থাকে নানান জনের মেসেজ! তার মেসেজ না পেয়ে হতাশ হই আমি!
এত লোকের মেসেজের বিনিময়ে ওই মানুষ টা কে ফিরিয়ে আনা যায় না?
আমি রুটিন করে তার মেসেজের অপেক্ষায় থাকি। ‘প্রাইভেসি’ নামক ইস্পাত কঠিন দেওয়াল এর কারনে আমার কিছু বলার সুযোগ হয় না।
কিজানি! ‘প্রাইভেসি’ হয়তো আমাকে বুঝিয়ে দেয় ‘তুমি আর পাবানা তাকে।
এই এরিয়া তে তোমার জায়গা নেই!’
আমি প্রতিজ্ঞা করি যে ‘তাকে ছাড়াই ভালো থাকবো!’ তাকে ভুলে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হই, ব্যস্ততা শেষ হলেই আমার হাহাকার বাড়ে!
সেই প্রিয় কন্ঠের মানুষটা বলে না ‘খাওয়া হইসে?’ কিংবা তাঁর সারাদিন এর কর্মকান্ড শুনা হয়না আমার। তার মন ভালো করার সু্যোগ হয় না আমার!’
আজকাল আমি ‘অনিয়ম’ করি, অসুস্থ হয়ে যাই,কেয়ারলেস হই! এখন আর কেউ ফোন দিয়ে বকাঝকা করে না! এখন আর কারো বকা খাওয়ার জন্য ইচ্ছে করে অনিয়ম করা হয়না! কেউ অভিমান দেখায় না!
সন্ধ্যা হয়, রাত হয়, রাত গভীর হয়!
‘শুনোনা কি হইসে আজকে’ বলে সারাদিনের ঘটনা বলা হয়না কাউকে!
আমার কথা ফেলার ডাকবাক্স টা হারিয়ে গেছে!
আমার দেওয়ালে দেওয়ালে বিজ্ঞপ্তি দিতে ইচ্ছে করে, চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে “আমার ডাকবাক্স টা হারিয়ে গেছে,আমার মানুষটা চলে গেছে!”
রাত বাড়ে! ফোনের চার্জ কমে! অথচ আমার জমানো কথার পরিমাণ রাতের পর রাত বাড়তেই থাকে!
জমানো কথা,দীর্ঘনিঃশ্বাস চেপে রেখে আমি ভিজে ওঠা বালিশে ঘুমিয়ে পড়ি কারণ আজকাল আমাদের আর কথা হয়না।