ক্রাইম রিপোর্টঃসাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর মোতালিব প্লাজা শপিং কমপ্লেক্সে আইফিক্সস ফাস্ট এর কর্ণধার আকিবুল ইসলাম আরিয়ান অপকর্মের ফিরিস্ত এসেছে সাংবাদিকের হাতে ।
আকিবুল ইসলাম আরিয়ান বিগত ৬ বছর আগে মোতালিব প্লাজার ৪র্থ তলায় একটা দোকানের সামনে একটা টেবিলে বসে মোবাইলের সফটওয়্যার কাজ করতো।আরিয়ানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ হলো আরিয়ান বিভিন্ন ব্যান্ডের দামী মোবাইল স্যামসাং,শাওমি,রিয়েলমিসহ সকল মোবাইলে আইমি চেন্জ করে বাজারে বিক্রি করতো ।আইমি চেন্জ করার দায়ে বিপুল পরিমান মোবাইলসহ ডিবির হাতে ও গ্রেফতার হয়েছেন আরিয়ান।দীর্ঘদিন কারাবাস করার পর বের হয়ে তৃতীয় তলায় একটি দোকান ভাড়া নিয়ে শুরু করেন নতুন করে মোবাইল সার্ভিসিং এর ব্যবসা দোকানের নাম দেন আইফিক্সস ফাস্ট ।
যুব মহিলালীগের এক নেত্রীর চত্রছায়ায় খুব অল্প সময়ে ফুলে পেঁপে উঠতে থাকেন আরিয়ান নিজস্ব কোম্পানী আইফিক্সে ফাস্টের দোকানের সংখ্যা দিনের পর বাডতে থাকে তার নিজস্ব দোকানের সংখ্যা।
তার বিরুদ্ধে মোতালিব প্লাজার দীর্ঘদিনের পুরাতন বেশ কয়েকজন দোকানদার পাহাড় পরিমান অভিযোগ হলো মোতালিব প্লাজা মার্কেটের ২য় তলা ও তৃতীয় তলায় যে দোকান গুলোর ভাড়া ১০ থেকে ১৫ হাজার এ্যাডভান্স ১ লক্ষ টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা। সেই দোকান গুলো আরিয়ান ৫০-থেকে ৬০ হাজার ভাড়া বাডিয়েছেন ও প্রতিটি দোকানের এ্যাডভান্স করেছেন ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা তা নিয়ে রীতিমত দোকান ছাড়তে হয়েছে অনেক পুরাতন দোকানদারগন।
অভিযোগ আছে উর্থি বয়সের মেয়েদের দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে চটকদারী বিজ্ঞাপন ও কন্টেন্ট করে ভিডিও করে লোভনীয় সব অপার দিয়ে নিজের দোকানে কাষ্টমার আনেন আরিয়ান।মার্কেট উর্থি বয়সি মেয়ের হাট বসিয়ে মার্কেটের পরিবেশ নষ্ট করেছেন বলে ও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
সন্ধ্যা হলে আরিয়ান উর্থি বয়সি মডেল নওমি খান কে নিয়ে চলে যান টঙ্গীতে অবস্থিত ড্যান্স ক্লাব এন্ড বার জাবানে সারারাত নাচে গানে পার্টি করে সকালের ফিরেন তিনি।
সুধু তাই নয় নাটক সিনেমার নায়িকা ও মডেলদের নিয়ে ঘুরে বেড়াল দেশ বিদেশী সব কিছুই করেন মোতালিব প্লাজার মোবাইল সার্বিসিং এর আয়ের উৎস দিয়ে।
প্রশ্ন হলো মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসায় করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া আরিয়ান আয়ের উৎস নিয়ে ও সন্দিহান মোতালিব প্লাজার অনেক দোকানদার।
অনেকে ধারনা করছেন মোবাইল সার্ভিসিং এর আড়ালে আরিয়ান বিভিন্ন মেয়েদের দিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ ও করান বলে অভিযোগ আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে এক অপরাধ বিশ্লেষক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,সৎ উপার্জন ও বৈধ আয় হয়ে থাকলে কখন এমন অনৈতিক কার্যক্রম ও বিলাসী জীবন যাপন কেউ করতে পারে না,বিশেষ করে মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসায় আহামরি লাভ আমি দেখি না,দুদক বা অন্যন্যা সংস্থা তদন্ত করলে মূল আয়ের উৎস বেরিয়ে আসবে
তবে এই ধরনের অপরাধিদের খুব দ্রুত আইনের আওতা আনা উচিত বলে আমি মনে করি।
এই বিষয়ে আইফিক্সস ফাস্ট এর সিইও আকিবুল ইসলাম আরিয়ানকে একাধীক বার কল দিলে তিনি রিসিভ করে না।