ঢাকা ০৮:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে আনিস আহমেদ এর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ০১:২১:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৩৪৩২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাম্প্রতিক সময়ে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অদ্য ২৮ ডিসেম্বর ২২ ইং আসামী আনিসআহমেদ এর বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিতহওয়ায় তার নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব প্রদানের জন্য দূর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক মামলার  আদেশ জারিকরা হয়। আনিসের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, আসামী আনিস আহমেদ ২০০৮-২০০৯ হতে২০২১-২০২২ করবর্ষে আয়ের বিভিন্ন উৎসের মধ্যে ২০২০-২১ করবর্ষে একশত ছত্রিশ কোটি দুই লক্ষ ৭৭ হাজার ৪০০  টাকা১৩৬,০২,৭৭,৪০০/- টাকা আয়ের তথ্য প্রদান করেন। 

সম্পদ বিবরণী যাচাই/অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, আসামী আনিস আহমেদ একজন নিয়মিত আয়কর দাতা হলেও উল্লিখিতমোট আয়ের মধ্যে ২০২০-২০২১ করবর্ষের আয়কর নথিতে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৯-এ  ধারায় ১৩৬,০২,৭৭,৪০০/- টাকা বিনিয়োগ হিসাবে প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু আসামী আনিস আহমেদ বিনিয়োগ হিসাবে প্রদর্শিত উক্ত অর্থের স্বপক্ষেসন্তোষজনক কোন রেকর্ডপত্র/তথ্য-প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে পারেননি এবং অনুসন্ধানকালে তার উল্লিখিত আয়ের উৎসেরস্বপক্ষে সন্তোষজনক কোন তথ্য-প্রমাণও পাওয়া যায়নি অর্থাৎ আসামী আনিস আহমেদ অসৎ উদ্দেশ্যে অসাধু উপায়ে অর্জিতঅবৈধ সম্পদকে বৈধ করার অপচেষ্টা করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। 

অনুসন্ধান কার্যক্রম চলাকালীন অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তি স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া ও দুর্নীতি দমন কমিশন এর চলমানঅনুসন্ধান কার্যক্রম এর অভিযোগ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি বিনিয়োগ হিসাবে উক্ত অর্থ প্রদর্শন করেছেন। এতে প্রতীয়মানহয় যে, আসামী আনিস আহমেদ কর্তৃক হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও নিজ ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। বিধায় তার বিরুদ্ধে বর্ণিত অপরাধের দায়ে উপর্যুক্ত ধারায় একটি মামলা রুজু করাহয়েছে। অর্থ আইন ২০২০ (সংশোধিত ২০২১) অনুযায়ী আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৯এ  ধারায় রিটার্ন অথবা সংশোধিতরিটার্ন দাখিলের তারিখে অথবা তার পূর্বে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর অধীন কর ফাঁকির অভিযোগে কোনো কার্যধারা বাঅন্য কোনো আইনের অধীন আর্থিক বিষয়ে কোনো কার্যধারা চালু হলে এ ধারার বিধান প্রযোজ্য হবে না।বিকালে দুদকের প্রধানকার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন,কমিশন কর্তৃক ফ্রেব্রুয়ারি, ২০২০ সালে তার বিরুদ্ধেঅনুসন্ধান তথা আইনী কার্যধারা চালু করায়, তিনি তারপরে এই আইনী সুবিধা পাওয়ার কোন সুযোগ নেই মর্মে মামলা টিদায়ের করেছেন দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে আনিস আহমেদ এর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট সময় : ০১:২১:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাম্প্রতিক সময়ে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অদ্য ২৮ ডিসেম্বর ২২ ইং আসামী আনিসআহমেদ এর বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিতহওয়ায় তার নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব প্রদানের জন্য দূর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক মামলার  আদেশ জারিকরা হয়। আনিসের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, আসামী আনিস আহমেদ ২০০৮-২০০৯ হতে২০২১-২০২২ করবর্ষে আয়ের বিভিন্ন উৎসের মধ্যে ২০২০-২১ করবর্ষে একশত ছত্রিশ কোটি দুই লক্ষ ৭৭ হাজার ৪০০  টাকা১৩৬,০২,৭৭,৪০০/- টাকা আয়ের তথ্য প্রদান করেন। 

সম্পদ বিবরণী যাচাই/অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, আসামী আনিস আহমেদ একজন নিয়মিত আয়কর দাতা হলেও উল্লিখিতমোট আয়ের মধ্যে ২০২০-২০২১ করবর্ষের আয়কর নথিতে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৯-এ  ধারায় ১৩৬,০২,৭৭,৪০০/- টাকা বিনিয়োগ হিসাবে প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু আসামী আনিস আহমেদ বিনিয়োগ হিসাবে প্রদর্শিত উক্ত অর্থের স্বপক্ষেসন্তোষজনক কোন রেকর্ডপত্র/তথ্য-প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে পারেননি এবং অনুসন্ধানকালে তার উল্লিখিত আয়ের উৎসেরস্বপক্ষে সন্তোষজনক কোন তথ্য-প্রমাণও পাওয়া যায়নি অর্থাৎ আসামী আনিস আহমেদ অসৎ উদ্দেশ্যে অসাধু উপায়ে অর্জিতঅবৈধ সম্পদকে বৈধ করার অপচেষ্টা করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। 

অনুসন্ধান কার্যক্রম চলাকালীন অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তি স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া ও দুর্নীতি দমন কমিশন এর চলমানঅনুসন্ধান কার্যক্রম এর অভিযোগ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি বিনিয়োগ হিসাবে উক্ত অর্থ প্রদর্শন করেছেন। এতে প্রতীয়মানহয় যে, আসামী আনিস আহমেদ কর্তৃক হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও নিজ ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। বিধায় তার বিরুদ্ধে বর্ণিত অপরাধের দায়ে উপর্যুক্ত ধারায় একটি মামলা রুজু করাহয়েছে। অর্থ আইন ২০২০ (সংশোধিত ২০২১) অনুযায়ী আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৯এ  ধারায় রিটার্ন অথবা সংশোধিতরিটার্ন দাখিলের তারিখে অথবা তার পূর্বে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর অধীন কর ফাঁকির অভিযোগে কোনো কার্যধারা বাঅন্য কোনো আইনের অধীন আর্থিক বিষয়ে কোনো কার্যধারা চালু হলে এ ধারার বিধান প্রযোজ্য হবে না।বিকালে দুদকের প্রধানকার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন,কমিশন কর্তৃক ফ্রেব্রুয়ারি, ২০২০ সালে তার বিরুদ্ধেঅনুসন্ধান তথা আইনী কার্যধারা চালু করায়, তিনি তারপরে এই আইনী সুবিধা পাওয়ার কোন সুযোগ নেই মর্মে মামলা টিদায়ের করেছেন দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক ।