ঢাকা ১২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

অবৈধ মানি একচেঞ্জ ও হুন্ডি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সিআইডি’র অভিযান গ্রেফতার ১৪

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ০১:১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৩৪৪২ বার পড়া হয়েছে

মোস্তফা শেখঃসাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব ব্যাপি করোনা পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে জ্বালানী তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি বিরাজমান। বাংলাদেশও এর অবশ্যম্ভাবী প্রভাব পড়েছে। এরূপ পরিস্থিতিতে দেশের কিছু অসাধু বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসায়ী অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে বৈদেশিক মুদ্রার কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এবং অধিক মুনাফার জন্য মার্কিন ডলার মজুদ করে দাম বাড়াচ্ছে। ৮৫ টাকার মার্কিনডলার ১২৩ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। এ কাজে অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের চেঞ্জারের যেমন ভূমিকা ছিল তেমনি কিছু কিছু বৈধমানি এক্সচেঞ্জ এর ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ডলারের ঊর্ধগতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় সিআইডি ইতোমধ্যে বেশ কিছু অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে,বর্তমানে বাংলাদেশে ২৩৫ টি লাইসেন্সধারী বৈধ মানি এক্সচেঞ্জ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থা হতে প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রায় ১০০০ এর অধিক অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।এছাড়াও অনেকে নাম-ঠিকানাবিহীন ভাসমান অবস্থায় হাতে-হাতে, কাঁধে ব্যাগ বহন করে মতিঝিল, গুলশান, উত্তরা এবং বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ব্যবসা করে আসছে মর্মে জানা যায়।

সিআইডি প্রধান এর সার্বিক তত্বাবধানে ও নির্দেশনায় অবৈধভাবে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা এবং এর আড়ালে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার সংক্রান্তে অভিযান চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় গত ১৭ জানুয়ারি ২৩ ইং সিআইডির বিশেষ টীম ঢাকা মহানগরীর ৫টি স্থানে (গুলশান-১, রিংরোড, মোহাম্মদপুর, আশকোনা,এবিমার্কেট, উত্তরা এবং চায়না মার্কেট, উত্তরা) একযোগে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান দেশী-বিদেশী মূদ্রাসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ১,১১,১৯,৮২৬ (এক কোটি এগারো লাখ উনিশ হাজার আট শত ছাব্বিশ) টাকা সমমূল্যের ১৯টি দেশের বৈদেশিক মূদ্রাসহ সর্বমোট ১,৯৯,৬১,৩৭৬ (এক কোটি নিরানব্বই লক্ষ একষট্টি হাজার তিনশত ছিয়াত্তর) টাকা জব্দকরা হয়। উল্লেখিত আসামীগণ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিজস্ব অফিস এবং ভাসমান যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি (লাইসেন্স) ব্যতিত বৈদেশিক মূদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা স্বীকার করে উল্লেখিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭০-৭৫ লক্ষ টাকা সমমূল্যের বিদেশী মূদ্রা অবৈধভাবে ক্রয়- বিক্রয় করে আসছে,গ্রেফতারকৃতরা হলেন,আবু তালহা তাহারত ইসলাম তোহা(৩২) আছাদুল শেখ(৩২)হাছান মোল্ল্যা(১৯)আব্দুল কুদ্দুস(২৪) হাসনাত এ চৌধুরী (৪৬)মোঃ শামসুল হুদা চৌধুরী রিপন (৪০)মোঃ সুমন মিয়া (৩০) তপন কুমার দাস (৪৫)আব্দুল কুদ্দুস(৩২)কামরুজ্জামান রাসেল (৩৭)মোঃ মনিরুজ্জামান (৪০)মোঃ নেওয়াজ বিশ্বস,মোঃ আবুল হাসনাত(৪০)মোঃ শাহজাহান সরকার(৪৫)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ অনুযায়ী মামলা রুজুর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

অবৈধ মানি একচেঞ্জ ও হুন্ডি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সিআইডি’র অভিযান গ্রেফতার ১৪

আপডেট সময় : ০১:১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

মোস্তফা শেখঃসাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব ব্যাপি করোনা পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে জ্বালানী তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি বিরাজমান। বাংলাদেশও এর অবশ্যম্ভাবী প্রভাব পড়েছে। এরূপ পরিস্থিতিতে দেশের কিছু অসাধু বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসায়ী অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে বৈদেশিক মুদ্রার কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এবং অধিক মুনাফার জন্য মার্কিন ডলার মজুদ করে দাম বাড়াচ্ছে। ৮৫ টাকার মার্কিনডলার ১২৩ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। এ কাজে অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের চেঞ্জারের যেমন ভূমিকা ছিল তেমনি কিছু কিছু বৈধমানি এক্সচেঞ্জ এর ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ডলারের ঊর্ধগতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় সিআইডি ইতোমধ্যে বেশ কিছু অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে,বর্তমানে বাংলাদেশে ২৩৫ টি লাইসেন্সধারী বৈধ মানি এক্সচেঞ্জ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থা হতে প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রায় ১০০০ এর অধিক অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।এছাড়াও অনেকে নাম-ঠিকানাবিহীন ভাসমান অবস্থায় হাতে-হাতে, কাঁধে ব্যাগ বহন করে মতিঝিল, গুলশান, উত্তরা এবং বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ব্যবসা করে আসছে মর্মে জানা যায়।

সিআইডি প্রধান এর সার্বিক তত্বাবধানে ও নির্দেশনায় অবৈধভাবে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা এবং এর আড়ালে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার সংক্রান্তে অভিযান চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় গত ১৭ জানুয়ারি ২৩ ইং সিআইডির বিশেষ টীম ঢাকা মহানগরীর ৫টি স্থানে (গুলশান-১, রিংরোড, মোহাম্মদপুর, আশকোনা,এবিমার্কেট, উত্তরা এবং চায়না মার্কেট, উত্তরা) একযোগে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান দেশী-বিদেশী মূদ্রাসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ১,১১,১৯,৮২৬ (এক কোটি এগারো লাখ উনিশ হাজার আট শত ছাব্বিশ) টাকা সমমূল্যের ১৯টি দেশের বৈদেশিক মূদ্রাসহ সর্বমোট ১,৯৯,৬১,৩৭৬ (এক কোটি নিরানব্বই লক্ষ একষট্টি হাজার তিনশত ছিয়াত্তর) টাকা জব্দকরা হয়। উল্লেখিত আসামীগণ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিজস্ব অফিস এবং ভাসমান যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি (লাইসেন্স) ব্যতিত বৈদেশিক মূদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা স্বীকার করে উল্লেখিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭০-৭৫ লক্ষ টাকা সমমূল্যের বিদেশী মূদ্রা অবৈধভাবে ক্রয়- বিক্রয় করে আসছে,গ্রেফতারকৃতরা হলেন,আবু তালহা তাহারত ইসলাম তোহা(৩২) আছাদুল শেখ(৩২)হাছান মোল্ল্যা(১৯)আব্দুল কুদ্দুস(২৪) হাসনাত এ চৌধুরী (৪৬)মোঃ শামসুল হুদা চৌধুরী রিপন (৪০)মোঃ সুমন মিয়া (৩০) তপন কুমার দাস (৪৫)আব্দুল কুদ্দুস(৩২)কামরুজ্জামান রাসেল (৩৭)মোঃ মনিরুজ্জামান (৪০)মোঃ নেওয়াজ বিশ্বস,মোঃ আবুল হাসনাত(৪০)মোঃ শাহজাহান সরকার(৪৫)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ অনুযায়ী মামলা রুজুর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।